কলকাতা: বেদমন্ত্র পাঠ এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে ব্যারাকপুরের স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রাক-শারদীয় উৎসব। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে সারাদিন ধরে চলল নানা সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান।
স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন, মহিষাসুরমর্দিনী, নারী শক্তি ও ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে বিশেষ অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পরিবেশিত মহিষাসুরমর্দিনী সকলের নজর কেড়েছে। দেবী বন্দনা, নৃত্য, সঙ্গীত ও নাটকের পাশাপাশি আলপনা ও হস্তশিল্পে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ উৎসবকে অন্য মাত্রা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর সাজানো হয়েছিল সোলা ও পাটের হস্তশিল্পে নির্মিত একচালা প্রতিমা ও আলপনা দিয়ে। মাল্টিমিডিয়া ও অ্যানিমেশন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কাজ ছিল উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।
উৎসবে আমন্ত্রিত ছিলেন দেবশঙ্কর হালদার, গৌতম হালদার, শ্রীজাত, শুভ্রা বসু, দেবাশিস রায়, চন্দন সেনসহ বিশিষ্ট বিদ্বজনেরা। কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, কর্মী ও অতিথির উপস্থিতি উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
আচার্য ড. নন্দন গুপ্ত, রাজ্যের মুখ্যসচিব (জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা) ড. রাজেশ কুমার (আইপিএস), উপাচার্য অধ্যাপক সুব্রত কুমার দে সহ একাধিক শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে বিশেষ তাৎপর্য যোগ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাঠদানের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশই তাদের মূল লক্ষ্য। তাই প্রতি বছরের মতো এই বছরও প্রাক-শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
