কলকাতা, প্রিয়াঙ্কা আইচ ভৌমিক: কেন্দ্রের থেকে বকেয়া আদায়ে আগামী ২ ও ৩ তারিখ দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সকাল ৮ টায় বিশেষ ট্রেনে তাঁদের দিল্লি রওনা হওয়ার কথা ছিল। রবিবার দিল্লি পৌঁছে ২ ও ৩ অক্টোবর টানা ধর্না ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করার কথা ছিল তাঁদের। তাঁর জন্য একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিল শাসক দল।
শুক্রবারের মধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছিলেন কলকাতায়। কিন্তু তৃণমূলের অফিশিয়াল পেজে শুক্রবার জানান হয়, বিশেষ ট্রেন দিতে পারছে না পূর্ব রেল ।
পূর্ব রেলের তরফে দলকে জানানো হয়েছে, রেক না থাকায় দিতে পারিনি। তবে শাসকদলের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, যতই আটকানোর চেষ্টা হোক, মাথা নত করবে না তৃণমূল। আন্দোলন জারি থাকবেই। অন্যদিকে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে বললেন, “ইউনিয়নের লোকেদের ধমকানো হয় আমাদের মিটিংয়ে না যাওয়ার জন্য। গাড়ি পাই না। পারমিশন পাই না। লাক্সারি বাস করে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন সভা করতে। কেন দিল্লী যেতে পারছেন না! তার চাইতে তো কম ডিস্টেন্স।”
তবে শেষ মুহূর্তে বাসের উপরেই যে ভরসা করতে হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। সারা ভারতে চলাচলের অনুমতি রয়েছে এমনই প্রায় ৫০টি বাস আনা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। প্রতি বাসে প্রায় ৭০টি সিট থাকছে। এছাড়াও থাকছে স্লিপার ফেসিলিটি।
আয়োজকদের দাবি, প্রত্যেকেই আরামে দিল্লিতে পৌঁছেতে পারবেন। প্রতিবাসে থাকবেন একজন করে চিকিৎসক। সঙ্গে থাকবে সম্পূর্ণ মেডিক্যাল দল। প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকদের।
জেলা অনুযায়ী বাস বরাদ্দ করা হচ্ছে। খবর অনুযায়ী, কলকাতা থেকে আসানসোল, ধানবাদ, বারাণসী, কানপুর ও আগ্রা হয়ে দিল্লি পৌঁছবে বাসগুলি।