নারায়ণা হেলথের পরিবেশনা ‘মনে রেখো’: অঙ্গদান সচেতনতায় কলকাতার বুকে এক অভিনব লেজার শো

Business Healthcare Kolkata

কলকাতা: চলতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলার আকাশে উজ্জ্বল নারায়ণা হেলথের একটি অভিনব লেজার শো। চার দিন ব্যাপী এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মনে রেখো’। স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে চন্দননগর, যেখানে পুরাণের নানা গল্পের সঙ্গে অঙ্গদানের মতো অসীম গুরুত্বপূর্ণ বার্তাকে তুলে ধরা হয়েছে এক অভূতপূর্ব মিশেলে।


‘মনে রেখো’ একটি বিশেষ সত্ত্বাকে বিস্তার করা বিশেষ যাত্রা, নেপথ্যে নারায়ণা হেলথ, কলকাতা-র বহু প্রচেষ্টা ও ভাবনা। এটি একটি সার্বিক উদ্যোগ, যেখানে অঙ্গদানের মাধ্যমে যাঁরা জীবনদান করেছেন কোনও মানুষের, তাঁদের ত্যাগ ও সাহসকে কুর্ণিশ জানানো হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ নভেম্বর ২০২৩ সূর্যাস্তের পরে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর দেখতে পাওয়া যাবে এই অভিনব উপস্থাপনা, যা সাংস্কৃতিক উদযাপন ও সামাজিক প্রচারাভিযানের মেলবন্ধনে এক অন্য ধারার প্রচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত। প্রাক্তন রেডিয়ো জকি মীর আফসার আলির ভাষ্যপাঠে লেজার শো-টি যত্ন সহকারে সাজিয়ে তুলেছে এক পুরাণ কাহিনিকে। পাশাপাশি রয়েছে চোখধাঁধানো লেজার কারুকৃতি, যার মাধ্যমে জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অঙ্গদানের সচেতনতার এক মোড়-ঘোরানো বার্তা।


নারায়ণা হেলথের এই উদ্যোগ স্মৃতি ও বোঝাপড়ার এক অনবদ্য মিশেলের মাধ্যমে অঙ্গদানের গুরুত্বকে দর্শকদের মনে গেঁথে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্রকাশ পেয়েছে। লেজার শোয়ের মাধ্যমে এই মনকাড়া গল্প অঙ্গদান ও প্রাণ বাঁচানোর স্বপক্ষে জোরদার সমর্থন জানিয়ে উদ্বুদ্ধ করছে দর্শকদের, যাতে তাঁরাও কারও জীবনের আশার প্রদীপ হিসেবে দেখা দিতে পারেন। কেউ এই উদ্যোগ ও প্রক্রিয়ার অংশ হতে চাইলে নারায়ণা হেলথের ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করিয়ে অঙ্গদানের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন। নাটো-র মাধ্যমে অস্ত্রোপচার নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে পরিচয় ও যোগাযোগের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে এর পরেই।


“আমরা বিশ্বাস করি ‘মনে রেখো’ শুধু যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করবে তাই নয়, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে এই মহান কাজের জন্য এগিয়ে আসতে,” বলছেন নারায়ণা হেলথের গ্রুপ সিওও আর ভেঙ্কটেশ। তিনি আরও বলেন, “মনে রেখো কেবল মাত্র একটি লেজার শো নয় বরং একটি কাজে এগিয়ে আসার বার্তা। যা সবার কাছে আর্জি রাখছে অঙ্গদানে সামিল হওয়া এবং মানুষকে সাহায্য করা ও পথ দেখানোর এই উদ্যোগের অংশ হতে। এই সব মানুষ অন্য কোনও মানুষের আশার আলো হয়ে উঠতে পারবেন, এবং ভবিষ্যতে সেই মানুষের মধ্যে দিয়ে তিনিও জীবিত থাকবেন বহু দিন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *